‘সবকটা জানালা খুলে দাওনা’, ‘একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতা’, ‘পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই’, ‘ডাকে পাখি খোল আঁখি’, ‘কাল সারারাত ছিল স্বপনের রাত’, ‘আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে’, ‘কতো যে তোমাকে বেসেছি ভালো’- এমন অসংখ্য নন্দিত গানের গীতিকবি নজরুল ইসলাম বাবু। এদেশের পথে প্রান্তরে আজও বাজে তার গান, বাজবে চিরকাল।
সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মৃত্যুর ৩১ বছর পর একুশে পদক পেলেন গীতিকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বাবু। খবরটি সঙ্গীতাঙ্গনে বেশ আনন্দ বয়ে এনেছে। দেরিতে হলেও গুণের কদর হয়, সেই কথাও বলছেন অনেকে।
১৯৪৯ সালের ১৭ জুলাই জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জের চরনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নজরুল ইসলাম বাবু। বাবা বজলুল কাদের ছিলেন স্কুল শিক্ষক। মা রেজিয়া বেগম গৃহিণী। বাবা বজলুল কাদেরের সঙ্গীতের প্রতি অনুরাগ ছোটবেলা থেকেই বড় সন্তান নজরুল ইসলাম বাবুকে প্রভাবিত করে। চার ভাই, পাঁচ বোনের মধ্যে বাবু ছিলেন সবার বড়। স্থানীয় স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে মামার কর্মস্থল বরিশালে চলে যান।
বরিশাল বিএম স্কুল অ্যান্ড কলেজে মাধ্যমিক এবং পরে জামালপুরের আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও বিএসসি ডিগ্রি নেন। শাহীন আক্তারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ১৯৮৪ সালে। ১৯৯০ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর বাবু মাত্র ৪১ বছর বয়সে মারা যান। ১৯৯১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’ চলচ্চিত্রের গান রচনার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।