রাশিয়া তাদের সেনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনের দুই শহরের জন্য মানবিক করিডর তৈরির ঘোষণা দিয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১১টায় ইউক্রেনের মারিওপোল ও ভোলনোভাখা শহরের জন্য এই মানবিক করিডর চালুর ঘোষণা দেয়। তবে মারিওপোলের মেয়র অভিযোগ করেছেন, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা সত্ত্বেও রুশ সেনারা গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। মারিওপোলের উপ মেয়র সেহি অরলোভ বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার সড়কের শেষ পর্যন্ত ‘যুদ্ধবিরতি মানা হচ্ছে না। শহরে গোলাবর্ষণ হচ্ছে’। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ানরা আমাদের ওপর বোমা এবং গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। এটা উন্মত্ততা। মারিওপোলের এই মেয়র বলেন, মারিওপোলে কোনো যুদ্ধবিরতি নেই, সমস্ত সড়কে কোনো যুদ্ধবিরতি নেই। বেসামরিক নাগরিকরা সরে যেতে প্রস্তুত কিন্তু গোলাবষর্ণের কারণে তারা সরে যেতে পারছে না। যুদ্ধবিরতির পূর্বে রুশ সংবাদমাধ্যমগুলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের মারিওপোল ও ভোলনোভাখার বেসামরিক নাগরিকদের শহর ছেড়ে যাওয়ার জন্য পথ তৈরি করে দিতে ‘নীরবতার শাসন’ প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং সেখানে সাময়িকভাবে যুদ্ধ বিরতি কার্যকর থাকবে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সেনাদের ব্যাপক গোলাবর্ষণে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরগুলো আছে সবচেয়ে বেশি চাপে। সেখানে দুই পক্ষের সেনাদের মধ্যে তুমুল লড়াই হচ্ছে। এর আগে বন্দর নগরী মারিওপোল দখল নিয়ে রুশ সেনারা অবরুদ্ধ করে রেখেছেন জানিয়ে মানবিক সাহায্যে করিডর তৈরির আকুতি জানান শহরটির মেয়র। মারিওপোল দখল রাশিয়াকে ইউক্রেনের একটি বড় বন্দরের নিয়ন্ত্রণ এনে দিয়েছে। শহরটির সঙ্গে ক্রিমিয়া এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রের সংযোগ রয়েছে।