অমিক্রন ধরনটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা হ্রাস করে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ডব্লিউএইচওর দেয়া এক বিবৃতি বলা হয়, নতুন ধরন ওমিক্রন উপসর্গের তীব্রতা অনেক কম আর সেটি করোনার টিকার কার্যকারিতা কমিয়ে দিচ্ছে। প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণে মনে হচ্ছে, সংক্রমণ এবং তা ছড়িয়ে পড়া রোধের ক্ষেত্রে প্রতিষেধকের যে কার্যকারিতা, তাকে কমিয়ে দিচ্ছে ওমিক্রন। গোষ্ঠী সংক্রমণ ঘটলে ডেল্টাকে টেক্কা দিয়ে ওমিক্রনই প্রধান সংক্রামক স্ট্রেন হয়ে উঠতে পারে।
করোনা মহামারী শুরুর প্রায় দুই বছর পর গত নভেম্বরের শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়। ইতোমধ্যে ৬৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনার এই ধরনটি নতুন করে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে গত ২ ডিসেম্বর ওমিক্রন সংক্রমিত প্রথম রোগী ধরা পড়ে। বাংলাদেশের দুই দিন আগে দুই নারী ক্রিকেটারের দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হয়।
ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর গত মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ পর্যায়েও নানা বিধিনিষেধ জারি করা হয়।
ডব্লিউএইচওর তথ্য অনুযায়ী, ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বের ৬৩টি দেশে ওমিক্রন ছড়িয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রনের দ্রুত সংক্রমণ লক্ষ করা গেছে।
ডব্লিউএইচও বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ ইঙ্গিত দিচ্ছে, ওমিক্রন ধরনটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা হ্রাস করে। বর্তমানে যেসব তথ্য-উপাত্ত রয়েছে, তার আলোকে বলা যায়, সংক্রমণের দিক দিয়ে ওমিক্রন সম্ভবত ডেলটা ধরনকে ছাড়িয়ে যাবে। ওমিক্রনের সংক্রমণে এখন পর্যন্ত মাঝারি বা উপসর্গবিহীন অসুস্থতা সৃষ্টি করছে।
ওমিক্রনের তীব্রতা প্রতিষ্ঠার মতো যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত এখন পর্যন্ত নেই বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।