সরকারি স্লোগান গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান এই স্লোগান না মেনে অবাদে কাঠ দিয়ে ইট পোড়াচ্ছে দামুড়হুদা নিউ বোস ব্রিকসে। জানা যায়, সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে অবাদে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে দামুড়হুদার মোক্তারপুর নিউ বোস ব্রিকসে। প্রতিদিন হাজার হাজার মন কাঠ কিনে রাখচ্ছে ইট পোড়ানোর জন্য । কাঠের দাম বেশি হওয়ায় অনেক বাগান মালিক অর্থের লোভে বাগান বিক্রি করে কাঠ ব্যবসায়ীদের কাছে। এক সময়ে প্রতি গ্রামের মাঠে মাঠে ও বসত ভিটায় ফলজ-বনজ ও ওষধি গাছ লাগাতো। এসব গাছ বড় প্রাপ্ত বয়স্ক হবার আগেই বিশেষ করে ফলজ ও বনজ কেটে ফেলা হচ্ছে। এখন বিশেষ
করে আম বাগান কেটে ফেলা হচ্ছে। আম বাগানের সাথে মেহুগনি, মহানিম, শিশু,ইপিলিপিল সহ অন্যান্য গাছ ও কেটে ফেল হচ্ছে। আর এসব গাছ বেশির ভাগই যাচ্ছে দামুড়হুদার মোক্তারপুর নিউ বোস ব্রিক্সে।। নিউ বোস ব্রিকসের মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় সে এসব কাঠ বেশি দামে ক্রয় করে থাকে। এসব আগান-বাগান
কেটে ফেলার ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশষ্কা করছে পরিবেশ বিদরা। এছাড়াও এই ইট ভাটাটি গড়ে উঠেছে ফসলি জমির মাঝখানে। এই ইট ভাটার আশে পাশের ত্রি-ফসলি জমির মালিকরা অভিযোগ করে বলেন, ইট ভাটাটির কারনে আমাদের জমির উর্বর শক্তি কমে যাচ্ছে। ফলন কম হচ্ছে।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মো মনিরুজ্জামান
বলেন, ফসলি জমির আশেপাশে ইটভাটা থাকলে ইট ভাটার আগুনের তাপে ফসলি জমির টপ সয়েল নষ্ট হয়। যার ফলে জমি তার উর্বরা শক্তি হারিয়ে ফেলে। ফসলি জমির আশেপাশে এভাবে ইট ভাটা গড়ে উঠায় কৃষির উপর বড় ধরণের প্রভাব পড়ছে। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান বলেন, কাঠ পোড়ানোর বিষয়টি আমি আবগত নই। ইট ভাটাই কাঠ পোড়ানা আইনত অপরাধ। যদি কেউ কাঠ দিয়ে ইট পোড়াই তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।