গত কয়েক দিন যাবৎ লোকালয়ে এসে মানব শরীরধারী শান্তসৃষ্ঠ প্রাণী একটি বন্যপ্রানী বিরল প্রজাতির হণুমান ভারতের সীমান্ত পারি দিয়ে ৭জানুয়ারী শনিবার গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালীবাড়ী গ্রামে লোকালয়ে হনুমানটি দেখা যায়।প্রত্যক্ষ দর্শি মিজানুর রহমান বলেন,লোক চক্ষুর দেখা দেওয়ার পর নানা ভাবে উৎসকু জনতা হুনুমানটিকে ভয় দেখানোর কারণে ছোটাছুটি করতে থাকে। একপর্যায়ে প্রাণ রক্ষা করতে আমার বাসার প্রাচীর পেরিয়ে আসে। আমি হনুমানের শরীরে হাত বুলায় এবং তাকে কলা খাবার দেই ও পানি খেতে দেই এরপর সে পুকুর পাড়ে একটি গাছে উঠে বসে থাকে । সন্ধ্যার পর তাকে আর সেখানে দেখা যায়নি । সে খুব শান্ত সৃষ্ট ছিলো তবে উৎসক জনতার তাকে দেখে ঢিলছোড়ায় সে অনেকটা ভয় ছুটাছুটি করলে উৎসক মানুষ তার পিছে ধাওয়া করায় সে আসলে কোন স্থানেই নিরাপত্তা পাইনি। হনুমানটিকে উদ্ধারে প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও বনবিভাগের কর্মকর্তারা এগিয়ে আসবেন এমনটি মনে করেছিলেন। এরপর হণুমানটি শনিবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী লক্ষিপুর ইউনিয়নের মালীবাড়ী গ্রামের একটি বেগুন ক্ষেতে আশ্রয় নেয়। এসময় গ্রামের শিশু কিশোরদের পিটুনীতে মারাত্বক আহত হয় হনুমানটি। পরে গ্রামবাসী পশু চিকিৎসক ডেকে এনে আহত হনুমানটির চিকিৎসা দিলেও বাঁচানো যায়নি বিরল প্রজাতির হনুমানটিকে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক এবং হতাশার। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি আমাদেরকে জানালে হনুমানটি উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া যেত এবং হনুমানটিকে বনবিভাগের মাধ্যমে দিনাজপুরের সংরক্ষিত বনে অবমুক্ত করা যেত।